নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পুরো বাংলাদেশেই বাস্তবায়িত হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের “লিড বাংলাদেশ”প্রজেক্ট। এরই অংশ হিসেবে সিলেটের টুলটিকরের মধুবাগ থেকে চামেলীবাগ “শিক্ষাই আমার অধিকার ” শীর্ষক সামাজিক উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়া বাংলাদেশের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে একদল উদ্যোমী তরুণ এই উদ্যোগটিতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে।
করোনাকালীন সময়ে এই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ে যায়,ফলশ্রুতিতে তাদের শিক্ষাজীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তাছাড়া স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অনেক কম ছিলো। অভিভাবকদের অসচেতনতা ও কতৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো। এই ব্যাপারে
মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দলটি বিভিন্ন সমস্যা ও এদের কারণ খুঁজে পায়।
প্রথমে তারা অত্র এলাকায় অবস্থিত বুরহানউদ্দিম গঃ দেঃ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে। এতে ঝরে পরার হার, শিক্ষার্থীদের সার্বিক অংশগ্রহণসহ বেশ কিছু বিষয় সামনে আসে। এদিকে অভিভাবকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিমত জানা হয়। দলের সদস্যগণ শিক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়ে অভিভাবকদেরকে সচেতন করার প্রচেষ্টা করেছেন এবং নিয়মিত স্কুলে প্রেরণ করার জন্য উদবুদ্ধ করেন।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা লিফলেট বিতরণ, দেয়ালিকা প্রদর্শন ও উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এছাড়া অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ, স্কুল-ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতেতে অনুষ্টিত হওয়া বৈঠকে সব সমস্যা ও সমাধানের পথ খুব স্পষ্টভাবে উঠে আসে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তন্মধ্যে পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, খেলাধুলা ও সহশিক্ষা-মূলক কার্যক্রমের সুবিধা ও অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা অন্যতম। এছাড়া
আশার ব্যাপার হলো, ঐ এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ফিরতে শুরু করেছে এবং অভিভাবকরা পড়াশোনার ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করছেন।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ” আমরা চাই সবাই মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করুক।আর একঝাঁক তরুণের এই মহতী উদ্যোগ সে পথকে আরো সুগম করেছে”।
তাছাড়া, এই এলাকার তথা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল আহমেদ রিপন উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তিনপক্ষের মধ্যে সমঝোতার সৃষ্টি করার মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপের সূচনা দেখে টিম “শিক্ষা আমার অধিকার” অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
উদ্যোগটির বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে জানতে চাইলে টিম “শিক্ষাই আমার অধিকার” বলে, “আমরা এই কমিউনিটিতে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছি। এই উদ্যোগটির সফলতা যেন স্থায়ীত্বশীল হয় সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তবুও আমরা নিজেদের জায়গায় কাজ করে যাবো”।