নিউজ ডেস্কঃ
দারিদ্রতার কষাঘাতে জীবন যায় যায়। ঘরে অন্ন নেই। চুলোয় রান্না নেই।পেট তো আর মানে না। খাবারের জন্য ৮ সন্তানের কান্না থামছে না।এমতাবস্থায় ক্ষুধার্ত সন্তানদের পাশে বসিয়ে পাতিলে পাথর বসিয়ে রান্নার ভান করছেন মা।এই আশায় যে, বাচ্চারা খাবারের অপেক্ষা করতে করতে এক সময় হয়তো ঘুমিয়ে পড়বে।
কেনিয়ার উপকূলীয় মোম্বাসা শহরের ঘটনা এটি। এমন মর্মস্পর্শী ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রান্না বসানো ওই নারীর নাম পেনিনা বাহাতি কিতসাও। তিনি বিধবা। আট সন্তানের জননী।
স্বামীকে হারিয়ে স্থানীয় একটি লন্ড্রিতে কাজ নেন অক্ষরজ্ঞানহীন কিতসাও। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সরকারি বিধিনিষেধের কাজটি হাতছাড়া হয়ে গেছে তার। ফলে ঘরে খাবার নেই।
কিন্তু পেট তো আর লকডাউন মানে না। ক্ষুধার জ্বালায় কোনোভাবেই থামছিল না শিশুদের কান্না। উপায় না পেয়ে পাতিলে পাথর রেখে চুলোয় আগুন ধরিয়ে বাচ্চাদের ধোঁকা দেয়ার পথ বেছে নেন মা। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি নজরে পড়ে প্রতিবেশী প্রিসকা মোমানির। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানান তিনি।
কেনিয়ার এনডিটিভিতে এ নিয়ে মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ওই মাকে সাহায্যের শেষ নেই মানুষজনের। প্রতিবেশী মোমানির মাধ্যমে অনেকে মোবাইল ফোন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন।
সহায় সম্বলহীন কিতসাও দুটি বেডরুমের যে বাড়িতে থাকেন সেখানে নেই পানি বা বিদ্যুতের সংযোগ। মানুষের উদারতায় মুগ্ধ তিনি।
সাহায্য পেয়ে কিতসাও বলেন, আমি বিশ্বাস করতাম না, যে কেনিয়ানদের এত দয়া আছে। সারা দেশ থেকে আমি ফোন পেয়েছি, কিভাবে তারা সাহায্য করতে পারে জানতে চাচ্ছে।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।