বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

আব্দুল ওয়াদুদ ময়নুল-এর কলাম ‘হুজুগে গুজবে নিমজ্জিত যে জাতি’




হুজুগে গুজবে নিমজ্জিত যে জাতি

আব্দুল ওয়াদুদ ময়নুল

জাতি হিসেবে আমরা হুজুগপ্রিয় এবং গুজবপ্রিয়। শুধু প্রিয় নয়, গুজবের খবর পেলে আশপাশে ঘুর ঘুর করা আমাদের জাতীয় স্বভাব। গুজবের হাত-পা থাকুক বা না-ই থাকুক, ভাসতে ভাসতে মুহূর্তেই পৌঁছে যায় হাজার মানুষের কানে। ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটআপের মাধ্যমে শহর থেকে গ্রামান্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে গুজব পৌঁছায় বিদ্যুত গতিতে।

আধুনিকতার এই যুগে আমরা যত সভ্য হচ্ছি, ততই আমরা কেন যেন কৌতুহলী জাতী হিসেবে জানান দিচ্ছি। যে কোন আজগুবি সংবাদ দেখামাত্র নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে আবেগে একে অপরে, বন্ধুত্বে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে যাই আমরা। গুজব হচ্ছে- জনসাধারনের সম্পর্কিত যেকোন বিষয়, ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মুখে মুখে প্রচারিত কোন বর্ণনা বা গল্প। তা এমন বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চত করা সম্ভব হয় না। গুজব হল প্রচারণার একটি উপসেট মাত্র।

সামাজিক বা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের একটি কলাকৌশল হচ্ছে গুজব রটানো বা মিথ্যা সংবাদে আশপাশ ভেজাল সৃষ্টি করা। সমাজের মুখোশধারী দুষ্টু লোকেরা এ সুযোগটি গ্রহণ করে বেশিরভাগই পার পেয়ে যায় বলে আজ তা একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। গুজব আর মিথ্যার অপপ্রচারে অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের ভাল-সৎ, নির্ভেজাল, নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ক্ষমতার মানদণ্ডে অশান্তি সৃষ্টিকারীরা সংঘবদ্ধ একটি চক্র হিসাবে কাজ করছে। এসব ঘৃণ্য অপরাধপ্রবণতা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং বাংলাদেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তৎপর। রাজনীতি এবং সমাজনীতি বাধাগ্রস্তকারী এসব গুজব রটনাকারীদের দু-একজনের বিচার হলেও কিন্তু তেমন কিছুই হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের পথ ধরে মূল অপরাধীকে ধরতে চেষ্টা করলেও অনেকাংশে ব্যর্থ হয়। গুজব চার ধরনের হয়- ইচ্ছাকৃত গুজব, ভয় থেকে গুজব, আগ্রাসী গুজব এবং অনুমেয় গুজব। সব ধরণের গুজবই ক্ষতিকর এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির একটি প্রধান মাধ্যম।

বোধশক্তি হওয়ার পর থেকে এখন অবধি কত যে গুজবের সাক্ষী হতে হয়েছে তা হিসেব রাখা যেমন কঠিন, তেমনি আরেক নতুন গুজবে পুরাতনটা যেন বরফের নিচে ঢাকা পড়ে যায়। ২০০০ সালের আগে ক্লাস ফাইভে বা সিক্সে পড়তাম। একবার এলাকায় সবার লোকমুখে প্রচার হলো আগামী ১৫-তারিখ শুক্রবার পৃথিবী ধ্বংস হবে নিশ্চিত। আসরের নামাজ পরে এই ঘটনা ঘটবে। যাকে জিজ্ঞেস করি সবাই বলে এই ঘটনা সঠিক। সবাই যার যার মত তসবীহ-কালামে ব্যস্ত সময় পার করছে। জীবনের শেষ সময় মনে করে কতকিছু খেয়েছি, কত নামাজ পড়েছি, কত কান্না যে করেছি; এখন স্বরণ হলে শুধু একা একা হাসি। এখন না হয় গুজবের প্রকারভেদ কিছুটা বুঝি, তবুও মাঝে মাঝে গুজবের ধরাশায়ী হয়ে যাই।

সবাই অবগত আছেন ২০১৩ সালের ফেসবুকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি ফটোশপে কারসাজি করে চাঁদে যাওয়ার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে কি তেলেসমাতি কারবারই না হল দেশে। তখন প্যারিস থেকে নিজের চোখে চাঁদে না দেখে মাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করার পর বলছিলেন হ্যাঁ দেখা গেছে, তবে আমি দেখি নাই, অমুক-তমুক দেখছে। আজ পর্যন্ত কারা এই অমুক-তমুক সন্ধান মেলেনি। অথচ যারা এ গুজব রটনাকারী ছিল তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করলেও বিচার এখনো হয়নি। নির্দিষ্ট করে এর দায়ভার কোন পক্ষ নেওয়া তো দূরের কথা, এই গুজব নিয়ে উল্টো কাদা ছোড়াছুড়ি দেখা যায়।

দেশ বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান নিয়ে কতবার যে মৃত্যুর সংবাদ চোখে দেখেছি। তাঁর ছোট ভাই সালেহ জামান আক্ষেপ করে বলেন, ‘প্রতি রমজানেই ভাইয়ার (এটিএম শামসুজ্জামান) মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। এ পর্যন্ত আমার ভাইয়াকে কতবার মেরে ফেলা হলো তার হিসাব হয়ত কারও কাছেই নেই। শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল বলেন, ‘এরকম খবর শুনলে আমাদের পরিবারে যে কী ধরনের সিচুয়েশন তৈরী হয়, এটা যদি যারা গুজব ছড়ায় তারা একটিবার বুঝতো! সবাই দোয়া করেন যেন আমার বাবাকে আল্লাহ হায়াত দারাজ করেন, আর যারা গুজব সৃষ্টি করেন তাদের হেদায়েত দেন।’ কতটুকু কষ্ট না পেলে পরিবারের সদস্যরা এমন অভিব্যক্তি করতে পারে!

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের অতি স্বল্প পরিচিত একটি ইংরেজি দৈনিক দ্য এশিয়ান এজ খবর দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের নোবেল পুরষ্কারের জন্য ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এ তালিকা তারা কোথা থেকে পেয়েছে সেটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এ খবর দেখা মাত্র দেশের অনেক জনগণ আবেগে খুশিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল। পরে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তি কিংবা মনোনয়নকারী- উভয়ের নাম ৫০ বছর পর্যন্ত গোপন রাখে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটি এক্ষেত্রে গোপনীয়তার কঠোর নীতি অনুসরণ করে। সুতরাং শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকার বিষয়টিকে একটি ভুয়া খবর হিসেবেই দেখছেন ফ্যাক্ট অনুসন্ধানকারীরা। অথচ এ ভুয়া খবরের উপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন ফেসবুকে।

“নিভে গেলো সন্ধ্যা তারা-জাতীয় পার্টি হলো পিতা হারা। না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক প্রসিডেন্ট ও জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।” ২১ জানুয়ারী ২০১৯ সোমবার রাত ৪টার সময় পারভেজ চিটাগং (ফটিকছড়ির পারভেজ) নামের ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। পরে আবার মাহমুদ হাসান আরিফ নামের আরেক আইডির পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বহুল আলোচিত-সমালোচিত এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ তবে পরে পোস্টগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। শেষে পর্যন্ত হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের মারা’ই গেলেন।

কয়েকদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে-কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরান হোসেনের মৃত্যুর খবর। ভেঙে পড়তে শুরু করেছিলেন অসংখ্য ভক্ত। খবর যাচাই করতে গুগলে শুরু হয়ে গিয়েছিল সার্চ। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন সকলেই। পুরোটাই ছিল গুজব। সুস্থ শরীরেরই বেঁচে আছেন পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবং সফল প্রধানমন্ত্রী।

গত কয়েকদিন আগে “কল্লাকাটা” গুজবে কি এক অশান্ত রূপ নিচ্ছিল বাংলাদেশে। পদ্মা নদীতে মানুষের বস্তা বস্তা কল্লা লাগবে, এবং সংগ্রহ চলছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। শুরু হয়েছিল কল্লাকেল্লা। তখন ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনীতে প্রাণ দিতে হয়েছিল কয়েকজন। একধরনের ডাকাতরা কোটিপতি হয়ে যাবেন ভেবে সত্যি সত্যি কল্লা সংগ্রহ করতে শুরু করছিল, যা খবরে প্রকাশ হয়েছিল। কি এক আজব জাতি আমরা! আমরা কী’ই না পারি!

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের শুরুতে হঠাত্ ফেইসবুক একটা নারীর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। নারীটি ফেইসবুক লাইভে নিজেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দাবি করে নানা ধরনের অসহায়ত্ব এবং মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছিল। মেয়েটির অঙ্গভঙ্গি দেখে যে কারো চুখে পানি আসবেই। আমি নিজেও তার এই অবস্থা দেখে অনুতপ্ত হয়েছিলাম। পরে যখন ঐ নারীকে পুলিশ গ্রেফতার করল, সে বলে আমি- এই ভিডিওটি মজা করে করছিলাম। আমার কিছুই হয়নি। আমি ভিডিওটি আমার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছি, আমার এই ভিডিওটি আপনারা প্রচার করেন কেন?”

এছাড়া করোনা ভাইরাস ঠেকাতে নারিকেল গাছের গোড়ায় পানি ঢালা, একযোগে আজান দেওয়া, ইব্রাহীমী Q7 তত্ত্ব, সিলেটে চিনি ছাড়া লাল চা পান করার হিড়িক, বিভিন্ন তৈজসপত্রে সেবনের অবৈজ্ঞানিক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা নিয়েও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ও গুজব ছড়াতে পুরোদমে সক্রিয় কোনো কোনো মহল।

ধর্মে-রাজনীতিতে বা রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গুজবের শেষ নেই। রাজনীতিতে বেশিরভাগ সময় গুজব ছড়ানো হয় প্রতিপক্ষকে কৌশলে দুর্বল করার জন্য। অনেক রাজনীতিবীদ মরার আগেও কতবার মৃত্যুর সংবাদ দেখে যাওয়ার দুর্ভাগ্য ঘটে। আমাদের দেশে এক অসভ্য সমাজের নির্ঘুম কাজ’ই যেন এই গুজব ছড়ানো। এটাই যেন তাদের জন্মের স্বার্থকতা। সুনিপুণ কায়দায় তারা গুজব ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে সমাজের অগ্রযাত্রা, সুস্থ মানবিক পরিবেশ অস্থির করে অন্যায়-অসত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। এমন নিখুঁত ভাবে তারা গুজব ছড়ায়, সত্য-মিথ্যা যাচাই করার যেন প্রয়োজন’ই মনে হয়না।

বর্তমান সমাজে গুজবের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌছেছে, যে কোন সংবাদ দেখামাত্র ভাবতে হয় এটা সত্য নাকি গুজব। আসল না নকল। রিয়েল না ফেইক। সচেতন, আমলা, সেলিব্রিটিরা পর্যন্ত গুজব সংবাদ প্রচার করে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। আজগুবি খবর প্রচারকারী অনেক অনলাইন পত্রিকা রয়েছে, যে নিউজগুলো দেখামাত্র যাচাই-বাঁচাই ছাড়া অনেকেই বিশ্বাস করে প্রচার করা শুরু করেন। অনেক সময় জাতীয় দৈনিক নির্ভরযোগ্য পত্রিকাও গুজবের জালে আটকা পড়ে। আবার অনেক সময় নিরেট একটা সত্য সংবাদকে গুজব বলে প্রচার করে ত্রিভেজাল লাগিয়ে দেয় এক ধরনের জ্ঞানপাপী সম্প্রদায়। বিশ্বের সব দেশে কম বেশি গুজব প্রচার হয়, কিন্তু বাংলাদেশ যেন গুজবের ফ্যাক্টরী খুলে বসে আছে। এদিকে দিয়ে দেশকে গুজবের “চারণভূমি” বলা যেতে পারে।

লেখক

এসব মিথ্যা সংবাদ বা গুজব ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশে সুন্দর একটা প্লাটফর্ম রয়েছে “fact checking”। তারা প্রত্যেক ভাইরাল সংবাদ যাচাই করে সঠিক তথ্য প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশেও সম্ভবত বিশ্ব factcheck এর অনুকরণে বা অনুমোদন নিয়ে “bd factcheck” এবং “Boom Bangladesh” নামে দুটি ফেসবুক পেইজ রয়েছে। যারা দেশে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। নিঃসেন্দহে এইটা আমাদের দেশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং প্রশংসনীয় একটি প্লাটফর্ম।

প্রতিটা ধর্মে গুজবকে “মহাপাপ” হিসেবে বলা হয়। গুজব ছড়ানো মূলতঃ শয়তানের কাজ। মানুষরূপী শয়তানরাই গুজব ছড়ায় সমাজে। যারা এসব গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োজন। সমাজের এ অচলায়তন ভাঙতে হলে শুধু পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভর করলেই চলবে না- দলমত নির্বিশেষে সবাইকে গুজবের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অবশ্য পুলিশকে সাধুবাদ জানাতেই হয়, তারা বিভিন্ন গুজবে কান না দেয়ার জন্য তৃণমূল পর্যায়ের স্কুল-মসজিদে মাইকিং করে আত্মসচেতন করে তুলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। গুজব প্রতিরোধে দেশের আইটি বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম যে একটি অপরাধ, এটি করলে যে আইনের আওতায় পড়তে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে- এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন আরো কঠোর হতে হবে। ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নাম দিয়ে যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন। আর এ গুজবপ্রিয়তা এবং মিথ্যার বেসাতি সামাজিক উন্নয়ন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত করছে না এসব নরপৈশাচিক কর্মকান্ডে লিপ্তরা দেশের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

আব্দুল ওয়াদুদ ময়নুলঃ কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক।

 

What do you want to do ?

New mail

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: