শাবুল আহমেদ, প্যারিস (ফ্রান্স) :
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জয় লাভ করেছেন। রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫৮% ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মারিন লো পেন-কে পরাজিত করে তিনি এ বিজয় অর্জন করেন।
কট্টর ডানপন্থী আরএন দলের মনোনীত প্রার্থী মারিন লো পেন পেয়েছেন ৪২% ভোট।
এরআগে গত ১০ এপ্রিল প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮% ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন এলআরএম দলের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মারিন লো পেন ২৩.১৫% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।
মূলত, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২৪ এপ্রিল) চূড়ান্ত পর্ব তথা দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট সম্পন্ন হয়।
আগামী ১৩ মে মধ্যপন্থী রাজনীতিক এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিজয় প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক সলিডারিতে অ্যাসি ফ্রঁস (সাফ)’র প্রেসিডেন্ট ও প্যারিস যুব কাউন্সিলর অ্যাম্বাসেডর বিশিষ্ট রাজনীতিক নয়ন এনকে বলেন, নানাবিধ কারণে মারিন লো পেনকে মানুষ প্রত্যাখান করবে এটা মোটামুটি আগে থেকেই জানা গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ম্যাক্রোঁর জয় কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও আমাদের মুসলিম কমিউনিটির জন্য মারাত্মক শংকা রয়েছে। কারন বিগত ৫ বছর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ম্যাক্রোঁ মুসিলমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছেন; অসংখ্য মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছেন। আগামীতে হয়তো আরো বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন৷ তাই এ ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি ‘লা ফ্রন্সঁ আনসুমিজ’ নামক বামধারার রাজনৈতিক দলের নেতা জ্যঁ লুক মেলনশোঁকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য। যিনি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃত্বীয় অবস্থানে ছিলেন। মেলনশোঁ প্রধানমন্ত্রী হলে আমাদের চিন্তাগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি জীবনযাত্রা আরো সহজ হতে সহায়ক হবে।
ম্যাক্রোঁকে অভিনন্দন জানিয়ে নয়ন এনকে জানান, আমাদের আশা এবং প্রত্যাশা থাকবে- প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের স্বাধীনতা-সমতা-ভ্রাতত্ব সমুন্নত রেখে দেশে মানবিক মর্যাদা আর সমধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে আগামী দিনগুলিতে কাজ করে যাবেন।
প্রসঙ্গত, এবারের ভোটের লড়াইয়ের প্রথম ধাপে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ৮জন পুরুষ ও ৪ নারী প্রার্থী ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ধাপের নির্বাচনে কোন প্রার্থী ৫০ বেশি ভোট নাম পেলে পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বোচ্চ বেশি ভোট পেয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় যে দু’জন হন, তাদের মধ্যেই চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।