শাহ সুহেল আহমদ:
পর্দা নামলো আন্তর্জাতিক খাদ্যমেলা সিয়াল প্যারিসের। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের অদূরে Parc des Expositions canter এর নর্দ ভিলপান্থে ৫দিন ব্যাপী খাদ্য মেলা ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর শেষ হয়। খাদ্যপ্রেমী, পেশাদার ও সৌখিন রাঁধুনী, নাম করা খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল সিয়াল ফুড ফেস্টিভাল।
এবারের আয়োজনে অংশ নেয় ১২০টিরও বেশি দেশ। মেলায় বিশ্বের নামীদামী ব্র্যান্ডের সাথে অন্তত ৭টি বাংলাদেশী খাদ্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সিটি গ্রুপ, এসিআই, আকিজ গ্রুপ, ওয়াক গ্রুপ প্রমুখ।
৬০ বছরে পা দেয়া বিশেষ এই মেলা দেশি-বিদেশী পর্যটকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল।
মেলায় ৭ হাজার ২০০টি স্টলের মধ্যেও বাংলাদেশি স্টলগুলিও ছিল চোখে পড়ার মতো। নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচিত হওয়া, বিভিন্ন দেশের রান্নার ধরণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নিজেদের পণ্যের প্রদর্শনী করতে পেরে খুশি বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এতে করে ব্যবসা প্রসারের সুযোগ বাড়বে, তেমনি বাংলাদেশি পণ্য পৌঁছে যাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
প্রচলিত ও জনপ্রিয় খাবারের ট্রেন্ড, টেকসই খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন খাবারের উদ্ভাবন সব মিলিয়ে এবারের মেলা বিগত যে কোনো বছরের সিয়ালের ফেয়ারের চেয়ে আলাদা। প্রকৃতি থেকে পাওয়া টাটকা খাবারের পাশেই ছিল এআই প্রযুক্তি নির্ভর খাদ্য প্রস্ততকারী যন্ত্রের প্রদর্শনী। দর্শণার্থীরা বলছেন, এ ধরণের আয়োজন শুধু খাবারের প্রতি ভালোবাসাই বাড়াবে না তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহও জোগাবে।
প্রথমবারের মতো এই মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। পণ্যের গুণগতমান মেলার ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন অংশগ্রহণকারীরা। সচারচর পণ্যের পাশাপাশি কনফেকশনারি পণ্যকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে গ্রুপটি। একইভাবে এসিআই, আকিজ, ওয়াক গ্রুপও তাদের পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করেন।
শেষে দিনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের কমর্শিয়াল কাউন্সিলর মিজানুর রহমান স্টল পরিদর্শন করেন। ২০২৬ সালে আবারও প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা। তখন বাংলাদেশের চা শিল্পসহ প্রসিদ্ধ খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ আশা করেন তিনি ৷ এতে বিশ্ব খাদ্য বাজারে বাংলাদেশের খাদ্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিক বড় অবদান রাখবে।