গত বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগের (এপ্রিল-জুন) তুলনায় এ বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে এসে চীনের স্মার্টফোনের বিক্রি কমে গেছে। বাত্সরিক স্মার্টফোনের বিক্রির হিসেবে এই প্রথমবারের মতো চীনে কমেছে স্মার্টফোনের বিক্রি। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে গার্টনার। তাদের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের এপ্রিল-জুন মাসের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে এসে চীনে স্মার্টফোনের বিক্রি কমেছে ৪ শতাংশ। চীনের স্মার্টফোনের বাজার সম্পৃক্ততায় পৌঁছে গেছে এবং দেশটির অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠীর হাতে এখন স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায় তারা বছর বছর স্মার্টফোন কেনার প্রবণতা থেকে সরে আসার কারণেই এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে বলে জানিয়েছে গার্টনার। চলতি বছরের এই দ্বিতীয় চতুর্ভাগে এসে চীনের স্মার্টফোনের ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তাতেও ব্যাপক বদল এসেছে। এই সময়ে গত বছরের শীর্ষ ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের বিক্রি ৪৮ শতাংশেরও বেশি কমে যাওয়ায় স্যামসাংয়ের অবস্থান এখন নেমে এসেছে ছয়ে। অন্যদিকে প্রায় ৪৬ শতাংশ বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের পাঁচে থাকা হুয়াওয়ে উঠে এসেছে স্মার্টফোন বিক্রির শীর্ষে। গত বছরের দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিয়াওমি অবশ্য নিজের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে এবং এ বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে এসে তাদের স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে ১৩.৪ শতাংশ। এ বছরে নতুন কোনো স্মার্টফোন বাজারে না ছাড়লেও চীনের আইফোনের বিক্রি বেড়েছে ৬৭.৬ শতাংশ। তাতে করে বাজারের তৃতীয় স্থানটি এখন তাদেরই দখলে। চীনেরই আরেক স্থানীয় ব্র্যান্ড বিবিকে ইলেক্ট্রনিক্সের স্মার্টফোনের বিক্রি ৪৮.৯ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় চতুর্থ স্থানটি দখল করে নিয়েছে। আর বাজারে বিক্রির হার বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে অপ্পো। গত বছরের তুলনায় তাদের বিক্রি বেড়েছে ৭২.৫ শতাংশ। সে কারণেই তারা নবম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে এ বছরে। অন্যদিকে চীনের আরেক সফল ব্র্যান্ড লেনোভো এই সময়ে স্যামসাংয়ের মতোই বাজার হারিয়েছে। তাদের স্মার্টফোনের বিক্রি ৪২.৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় চীনের বাজারে এখন তাদের অবস্থান সপ্তম। গার্টনারের রিসার্চ ডিরেক্টর আনশুল গুপ্তা জানিয়েছেন, চীনের বাজারে স্মার্টফোনের বিক্রি কমে যাওয়া একটি বড় খবর। কেননা গোটা বিশ্বের স্মার্টফোনের বাজারের প্রায় ৩০ শতাংশই চীনের দখলে। কিন্তু চীনের মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায় তাদের আর ফিচার ফোন থেকে স্মার্টফোনে চলে আসার প্রবণতা কমে গেছে। আর এক স্মার্টফোন থেকে অন্য স্মার্টফোনে আপডেটের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই ধীরগতির হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে বাজারে।