থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় অভিযান চালিয়ে গত রোববার ও গতকাল সোমবার মোট আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আবারও অভিযান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গুহা থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা কিশোরেরা কেমন আছে?
বিবিসির খবরে জানা যায়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, কিশোরেরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছে। তাদের এক্স–রে ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ফুসফুসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দুজনের চিকিৎসা চলছে।
উদ্ধার করা কিশোরদের কমপক্ষে সাত দিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব জেসাদা চকেডামরংসুক বলেন, আট কিশোর ভালো আছে। তাদের কারও জ্বর হয়নি। সবার মানসিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি আরও জানান, প্রথমে তাদের বিশেষ খাবার ও শক্তি বাড়ানোর জেল দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা এখন সহজে হজম করা যায়—এমন খাবার খেতে পারছে। কয়েকজন কিশোর মা-বাবাকে কাচের দেয়ালের মধ্য দিয়ে দেখতে পেয়েছে।
কয়েক দিনের মধ্যে আবার কিশোরদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সংক্রমণ পাওয়া না গেলে তারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাবে। তবে পরিবারকে সংক্রমণপ্রতিরোধী পোশাক পরতে হবে। পরিবার ছয় ফুট দূরত্বে থেকে কিশোরদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে।
দুই সপ্তাহের বেশি অন্ধকারে কাটানোর কারণে কিশোরদের সানগ্লাস পরিয়ে রাখা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং গুহায় ঢোকার পর গত ২৩ জুন নিখোঁজ হয় ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ। ১২ কিশোরের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আর তাদের সহকারী কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের বয়স ২৫ বছর। তারা মু পা নামের একটি ফুটবল দলের সদস্য। নয় দিন সেখানে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরি রিচার্ড স্ট্যানটন ও জন ভলানথেন তাদের সন্ধান পান। অবস্থান জানার পর ১২ কিশোর ও তাদের কোচের জন্য গুহার ভেতরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পাঠানো হয়েছে খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।