সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বাজার তদারকি অভিযান
মোড়কে মুদ্রিত উৎপাদন তারিখ আসার আগেই বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ওষুধ। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) অধিদফতরের বাজার তদারকি অভিযানে নগরের চকবাজার কেবি ফজলুল কাদের সড়কের আরোগ্য ফার্মেসিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অভিযোগকারী ভোক্তাও উপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ২ হাজার টাকা পাবেন তিনি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আরোগ্য ফার্মেসি নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের ড্রপ তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করতো। কানের ড্রপ কিনে একজন ভোক্তা দেখেন জুলাই মাসে কেনা হলেও তাতে উৎপাদনের তারিখ দেওয়া হয়েছে আগস্ট মাসের।
অভিযানকালে অনিবন্ধিত ওষুধ রাখায় বহদ্দারহাটের চৌধুরী ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া শেভরন, এপিকসহ আশপাশে রোগ নিরূপণকেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার সরকার নির্ধারিত ফি’র বেশি নেওয়া হচ্ছে কিনা তা তদারক করা হয়।
পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও চকবাজার থানা এলাকায় এপিবিএন ৯ এর সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অভিযানকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেটের জনতা ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ইনজেকশন বিক্রির জন্য রাখায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধ্বংস করা হয় ইনজেকশন ও ওষুধগুলো।
চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকার আশীষ ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিষিদ্ধ বিদেশি ওষুধ সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা ও একই এলাকার ডি ফার্মাকে একই অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।