বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক




বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে লাভ নেই। রাজপথে নামতে হবে। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যখনই আন্দোলনের ডাক আসবে ঠিক তখনই এই সংগ্রামে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ রোডে বিভাগীয় মহাসমাবেশে এ আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। সমাবেশে সভাপত্বি করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল হক মিলন।

আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ, হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাড. কামরুল মনির, বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালকদার দুলু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মৎসজীবী দলের আহ্বাবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে নেত্রী গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বার বার সংগ্রাম করেছেন তাকে ৭৫ বছর বয়সে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ্য। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার দেখা করার কোনো সুযোগ নেই। পরিবারের সদস্যরা যারা দেখা করতে যায় তাদের পনেরো দিন পরে দেখা করতে দেয়া হয়, আবার মাত্র এক ঘণ্টার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ আঠারো মাস ধরে তাকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। তাকে মুক্ত করার জন্যই আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকার দানবের মতো আমাদের বুকে ভর দিয়ে বসে আছে।

তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের তথ্যমন্ত্রী নতুন নতুন তথ্য নিয়ে এসেছেন, তিনি তথ্য দিয়েছেন এখনকার এই ক্যাসিনোর টাকা নাকি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যায়। কি চমৎকার আবিষ্কার আপনার। ক্রিয়েটিভ ইনফরমেশন মিনিস্টার। কারণ তিনি এটা নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। এই কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আপনাদের সবকিছু ফাঁস হয়ে গেছে। এতোদিন যেগুলো জোর করে আটকে রেখেছিলেন এগুলো এখন ফাঁস হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ থেকে এক বছরে সাতাশ হাজার কেটি টাকা পাচার করা হয়ে গেছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় অপরাধ করেছেন অপনারা। এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। রাতের আঁধারে মানুষের অধিকার হরণ করেছেন। সব কিছু লুট করে নেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এই ভোট চুরি করে মানুষের মুখ বন্ধ করে জনগণের যে অধিকার আদায়ের আন্দোলন সেটা বন্ধ করা যাবে না। বিগত নির্বাচনের আগ থেকে ২৬ লক্ষ লোককে আসামি করা হয়েছে। এক লাখ মামলা দেয়া হয়েছে।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: