রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

কোয়ারেন্টাইনে মুখোশ পরা ব্যক্তিকে চেনাবে প্রযুক্তি




কোয়ারেন্টাইন বা আইসলেশনে থাকা ব্যক্তিরা মুখোশ পড়ে ঘোরাফেরা করলে সার্ভিলেন্স ক্যামেরায় তাদেরকে সনাক্ত করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ পরিসংখানে দেখা গেছে যেসব দেশে শুরু থেকেই মাস্ক ব্যবহারের প্রচলন ছিল, সেসব দেশে সংক্রমণের হার তুলনামুলক অনেক কম। এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিগমাইন্ড তাদের ওয়াচক্যাম ম্যাস সার্ভিলেন্স সিস্টেম এ সংযোজন করেছে মুখোশ উন্মোচন করার প্রযুক্তি।

এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যেগুলো কাজ করতে পারে, সেগুলো হলো-

কারো মুখে মুখোশ আছে কিনা শনাক্ত করে সে অনুযায়ী সতর্ক করতে পারবে। মুখোশ থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তার চেহারা উন্মোচন করার চেষ্টা করবে। ডাটাবেজ থেকে দ্রুত পরিচয় খুঁজে বের করবে। কোরেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিরা মুখোশ পরে ঘোরাফেরা করলেও ট্রেস করতে পারবে। ভিডিও ফুটেজ থেকে কন্টাক্ট ট্রেসিং করে তালিকা দিতে পারবে। জনসমাগম হয় এমন স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে সয়ংক্রীয় নজরদারি করতে পারবে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এই মুহূর্তে দরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। দেশের এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ব্যক্তিদের পক্ষে দীর্ঘ সময় রাস্তায় নেমে নজরদারি করা সম্ভব নয়। সবাই মুখোশ পরছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার জন্য জনবল নিয়োগ করাও অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

এক্ষেত্রে অটোমেশনই ভরসা। এ বিষযয়ে সিগমাইন্ড এর চেয়ারম্যান আবু আনাস শুভম বলেন, মুখোশ পরিহিত ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম গত বছর থেকে। সেটা যে এত তাড়াতাড়ি এভাবে প্রয়োজন হয়ে পড়বে তা তা ভাবিনি। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তিটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ৮৭.৩ শতাংশ একুরেসিতে মুখোশ পরিহিত এবং ৯৯.৪ শতাংশ একুরেসিতে মুখোশ ছাড়া ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারে। এছাড়াও সফটওয়ারটি ব্যাক্তির বয়স, লিঙ্গ, পরিধেয় পোশাকের রং ইত্যাদি তথ্য বের করে সহজেই তাকে খুজে পেতে সহায়তা করবে। একই ভাবে গাড়ির রং, নম্বর প্লেট ইত্যাদি সয়ংক্রিয় ভাবে সনাক্ত পারে যা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষনে অনেক সময় বাচায়।

সিগমাইন্ড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির তাবাসসুম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব দেশের সরকারই চাইছে নাগরিক দের আরো কঠোর ভাবে নজর দারি করতে যা আমাদের এই প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহার করে সহজেই করা সম্ভব। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা সাফল্যের সাথে আমাদের প্রযুক্তি ব্যাবহার করছে। সরকারের আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রকল্পের সদস্য হিসেবে বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাগুলোর সাথে যৌথভাবে কাজ করার নিরলস প্রয়াস ব্যক্ত করছি।

সিগমাইন্ড-এর পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন মনে করেন, সিগমাইন্ডের মেধাবী দল তাদের কৃত্রিম প্রযুক্তি দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে গবেষণা এবং উন্নয়ন ও উদ্ভাবন নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: