-
আব্দুল ওয়াদুদ ময়নুল
পবিত্র রমজান মাস আসলেই আমার কেন যেন বদর যুদ্ধের কথা স্বরণ হয়ে যায়। ১৭-ই রমযান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। এদিনেই ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরীতে অনুষ্ঠিত এই বদর যুদ্ধ মক্কার কাফেরদের অন্তরে মুসলমানদের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। মদীনা থেকে প্রায় ১৫০ কি:মি: দূরে অবস্থিত একটি স্থানের নাম বদর এবং এই স্থানেই বদর যুদ্ধটি অনুষ্ঠিত হয়। এই যুদ্ধের আগে মুসলিম-অমুসলিমের মধ্যে ছোট ছোট অনেক খন্ডযুদ্ধ হলেও বদর যুদ্ধে ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সম্মোখ সমর যুদ্ধ।
মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় হিজরত করার পরে সেখানকার রূপ পাল্টে যায়। দিন দিন ইসলামের সুবাতাস ছড়াতে থাকে মক্কায় তথা আরবে। এই বাতাস সহ্য করতে পারতো না মক্কার কোরাইশরা। ইসলাম এবং নবীকে দমন করার জন্য তারা নানা কৌশল বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই মুসলমানদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অর্থ জোগান ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ক্রয় করার উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মক্কার একটি বিশাল বাণিজ্য কাফেলা শাম শহরে গিয়েছিল। মক্কার প্রতিটি ঘর থেকে প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দিয়ে গঠন করা হয়েছিল ৪০ জন সশস্ত্র অশ্বারোহী যোদ্ধার পাহারায় এক হাজার মালবাহী উটের একটি বাণিজ্যিক বহর।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল মুসলমানরাও। তাই যখন তারা শাম থেকে ব্যবসা শেষে অস্ত্র নিয়ে ঘরে ফিরছিল, তখন তাদেরকে আটকানোর সিদ্ধান্ত হলো। মক্কার কুরাইশদের সকল গর্ব ও অহঙ্কারের মূল কারণ ছিল সিরিয়ার সাথে অতি প্রাচীন কালের বাণিজ্যিক সম্পর্ক। তাই রাজনৈতি ও ধর্মীয় উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে উক্ত বাণিজ্য ধারাটি বন্ধ করা ছিল অপরিহার্য। আবু সুফিয়ানের দলবল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মক্কায় ফিরে গেলে পরবর্তীতে তা হবে মুসলিমদের জন্য আতংকের। তাই মুসলমানদের আত্মরক্ষার্থে আবু সুফিয়ানকে আটকানো ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। বিষয়টি আবু সুফিয়ান টের পেয়ে দ্রুত সাহায্যের জন্য মক্কায় খবর পাঠায়। তবে খবরটি ছিল, মুসলমানরা আবু সুফিয়ানের কাফেলার ওপর হামলা করেছে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার সশস্ত্র যোদ্ধার এক বিশাল বাহিনী অস্ত্রশেস্ত্র সজ্জিত হয়ে মদিনা আক্রমণের জন্য বের হয়। অথচ মুসলমানরা যুদ্ধের জন্য কোন প্রস্তুতি নিয়ে আসেনি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধু আবু সুফিয়ানকে আটকানো।
যেহেতু ব্যাপক যুদ্ধের জন্য মুসলিম মুসলিমরা প্রস্তুত ছিলেন না তাই নবী কারীম (সা:) সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেন। যুদ্ধের জন্য সাহাবীদের পূর্ণ সমর্থন পেয়ে বাণিজ্য কাফেলার পরিবর্তে কুরাইশদের বিশাল বাহিনীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
মাত্র ৩১৩ জন মুসলিম এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছিল। মুসলমানগণ বদরে পৌঁছে ময়দানের উত্তর দিকে অবস্থান করলেন। আর ময়দানের অপর দিকে কাফেররা তাদের তাবু স্থাপন করল। যুদ্ধের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য একটি উঁচু টিলার উপর নবীজির জন্য ছায়ার ব্যাবস্থা করা হল। বর্তমানে এখানে ‘মসজিদুল আরীশ’ নামে একটি মসজিদ বানানো হয়েছে।
ময়দানে পৌঁছে নবী কারীম (সা:) এর সৈনিকেরা এক দূর্ভেদ্য প্রাচীররুপে দাঁড়িয়ে গেলেন। বিজয়ের জন্য নবী কারীম (সা:) ষোল ও সতের রোযার মধ্যবর্তী রাতটি আল্লাহর কাছে কান্নায় ও প্রার্থনায় অতিবাহিত করেছেন। ১৭ রমযান সকালে মুসলমানগণ যুদ্ধের জন্য কাফেরদের মুখোমুখি হলেন। যুদ্ধ শুরু হলো। মুসলমানগণ কাফেরদের গর্দান উড়িয়ে দিতে লাগলো। কয়েক ঘন্টার মধ্যে কাফেররা ময়দান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হল। মুসলমানগণ বিজয়ীর বেশে ময়দানে অবস্থান করলো। এ যুদ্ধে মুসলমানদের থেকে ১৪ জন শাহাদাত বরণ করেন। আর কাফেরদের থেকে আবু জাহল ও তার মত বড় বড় সরদার সহ ৭০ জন নিহত হল,৭০ জন বন্দি হল।
এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে বদর যুদ্ধের উদ্দেশ্য পূর্ণতা লাভ করে। এটি ছিল একটি মহা অলৌকিক বিজয়। বদরের বিজয়ের এই দিনটিকে আল্লাহ তায়ালা স্মরণীয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বদরে যুদ্ধে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের বিজয় ও সাহায্য দান করেছিলেন অথচ তোমরা কত দুর্বল ছিলে। অতএব, আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায়, তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করতে সক্ষম হবে” (সূরা আলে ইমরান : ১২৩)।
বদরের যুদ্ধ আমাদেরকে এই শিক্ষাই দেয় যে, সব কিছুর জন্য সবার উপরে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করা। এই যুদ্ধ প্রমাণ করে সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের কমবেশি হওয়া বিজয়ের মাপকাঠি নয়। বরং মহান আল্লাহর ওপর দৃঢ় ঈমান ও নির্ভরতা হলো বিজয়ের মূল হাতিয়ার। এই যুদ্ধ শিখিয়েছে জাগতিক সব প্রস্তুতির পরেও সাফল্যের জন্য নির্ভর করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর ওপর। তবেই মহান আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং বিজয় সম্ভব হবে। যদি মুসলমানগণ আল্লাহর বিধি-বিধান ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত পুরোপুরি অনুসরণ করে তাহলে আজও বিজয় এবং সাহায্য তাদের পদ চুম্বন করবে।
বদর যুদ্ধের পরও কাফিরদের প্রচেষ্টা থেমে যায়নি। বরং আবু জেহেলের উত্তরসূরিদের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে আজ পর্যন্ত। মুসলমানদের ৩১৩ জনের ক্ষুদ্র বাহিনীর হাতে অস্ত্রশস্ত্র সম্বলিত ১০০০ সন্যকে পরাস্ত করা চাট্টিখানি কথা নয়। তা সম্ভব হয়েছে ঈমানী বলে বলীয়ান সাহাবীদের ঈমানী জযবার জন্য। যার জন্য সেদিন ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং আল্লাহ।
কিন্তু, অতীতের সেই গৌরাবান্বীত মুসলিম জাতীরা আজ কেন এত বিভক্ত? ঐক্য, ভালবাসা, সৌহার্দ্য নেই। বিভিন্ন দলে গোত্রে বিভক্ত এ জাতি। সে সময়ের তুলনায় আজ মুসলমানদের শক্তি, সামর্থ ও জনসংখ্যা অনেক বেশি। তার পরও সারা বিশ্বে ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সহ ইসলাম বিদ্ধেষীদের হাতে মার খেয়েই যাচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, কাশ্মির, মিয়ানমার, চীন এই দেশগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় যেন মুসলমানরাই একমাত্র সেই জাতি যাদের জীবন, সম্পদ, ঘরবাড়ি এবং তাদের মা-বোনদের ইজ্জতের কোন মূল্য নেই। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছেদ করে তাদের সম্পদ দখল করতে পারে, মা-বোনদের ইজ্জত যত ইচ্ছা লুন্ঠন করতে পারে। আজকাল এই সভ্য পৃথিবীতে যারা মানবাধিকারের কথা বলে তাদের নেতৃত্বেই মুসলিম নিধন চলছে দেশে দেশে। যেন মুসলিম নিধনই মানবতার একটি অংশ মনে হয়।
বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেসে আসা মজলুম মুসলমানদের বুক ফাটা আর্তনাদ কারো কাছে যেন পৌছাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন তাঁদের যোগ্য কোন আভিভাবক নেই, কোন আশ্রয় নেই। অথচ এই এরাই এক সময় শাসন করছিল অর্ধ পৃথিবী। কিন্ত আজ এই দুর্দশায় আপনি নির্দিষ্ট কাউকে দায়ী করতে পারবেন না। ঈমানী দুর্বলতা এবং কাপুরুষতাই একমাত্র সমস্যা। এত অত্যাচার, এত নিপীড়ন সহ্য করে যাচ্ছে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, কাশ্মীর সহ নাম না জানা অনেক অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিমরা।
মনে আছে? সিরিয়ার তিন বছরের এক যুদ্ধাহত শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বলেছিল ‘আমি আল্লাহকে বলে দিবো, তোমরা আমার প্রতি অন্যায় করেছো’।
স্বরণ হচ্ছে, সিরিয় শিশু আয়ালানের কথা। তুরস্কের উপকূলে নৌকাডুবিতে মর্মান্তিকভাবে মারা যায় তার মা এবং বড় ভাই গালিপ। “বাবা প্লিজ তূমি মরে যেওনা” নিহত সিরিয়ার আয়লান কুর্দির জীবনের এটাই ছিল শেষ কথা।
মনে আছে ডঃ আফিয়া সিদ্দিকীর কথা? পিএইচডি ডিগ্রি ধারী এই মহিলাকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ২০০৩ সালে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাঁকে সহ তিন সন্তান আহমদ, সুলাইমান ও মারিয়মকে করাচির রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আফগানিস্তানে বন্দি রাখা কালে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। তাকে মানসিক, যৌন ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হত এবং তাকে দিনের মধ্য কয়েকবার করে ধর্ষন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। বাগরাম কারাগার থেকে মুক্তি প্রাপ্ত বন্দিরা অভিযোগ করেছে “নির্যাতনের সময়ে আফিয়ার আত্ন-চিৎকার অন্য বন্দির পক্ষে সহ্য করাও কঠিন ছিলো।” ওই নারীর ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য অন্য বন্দীরা অনশন পর্যন্ত করেছিলো।
এরকম হাজার-লক্ষ ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে এসব অঞ্চলে। আমাদের কাছে হয়তো দু একটা ঘটনা প্রকাশ হয়েছে মাত্র। এসব দেখে আমরা “আমীন, আমীন” ছাড়া বলার আর কিছুই নেই।
বিশ্বমোড়লরা দেশে দেশে যুদ্ধ করে হাজার-কোটি প্রাণ হরণেও গর্বের হাসি হাসতে জানে। কিন্তু বিবেকবান মানুষের মন এসব অত্যাচারে…আর্দ্র হয়, চাপা কান্নায় মরে কিন্তু বুক ফুলিয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। মুসলিম নেতারা এই সব জুলুমের প্রতিবাদ টুকুও করতে ভয় পায়। এ অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য আসবে কি করে? বদর প্রান্তরে মুসলমানদের মাঝে যে ঈমানী শক্তি, ঐক্যও মমত্ববোধ, একনিষ্ঠতা ছিল, সাহাবাগণ যেভাবে ছিলেন কুফুর শিরকের বিরুদ্ধে আপোসহীন,
এসবের কিছুই তো আজ মুসলিম বিশ্বে নেই।
আজ আমরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্ধ-কলহ, ক্ষমতার লোভ, বিলাসিতা ইত্যাদি বিরাজ করছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর ইসলামে চার খলিফা মুসলিম সাম্রাজ্য শাষন করে গিয়েছিলেন পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে। ক্ষমতা নিয়ে নিজে নিজেদের মধ্যে তেমন বড় মতানৈক্য ছিল না। চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ) মৃত্যুর পরেই ইমাম হাসান- মুয়াবিয়ার অনুসারীদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল, আজ পর্যন্ত সেই দ্বন্দ্ব আমাদের মুসলিমদের মধ্যে লেগেই চলছে। বিশ্বের কোন একটি দেশে ইসালামপন্থীদের মধ্যেও সুদৃঢ় ঐক্য নেই। আর একারণেই আজ মুসলিমবিশ্বের এই অবস্থা।
বর্তমান বিশ্বে সৌদি আরব সহ প্রত্যেক মুসলিম রাষ্ট্র’ই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাশ্চাত্য তথা ইউরোপ-আমেরিকার পা চাটা গোলাম হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছেন। যেন নিজ দেশের সর্বময় ক্ষমতার চাবি তাদের হাতে। মুসলিমদের এই দূরাবস্থার কথা তুলে ধরলেই যেন ক্ষমতায় তালাবদ্ধ করে রেখে আরেকজনকে বসিয়ে দেবে। এই ভয়েই সব রাষ্ট্রপ্রধান চুপ। অথচ যেসব এলাকায় মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, সেসব এলাকায় ইসলামে জিহাদ করার বিধান আছে। এই ব্যাপারে কেউ ফতোয়া দিতে চায় না। দিবেই বা কি করে? এই যে, “জঙ্গি মতবাদ” বলে একটা কথা আছে না? এই ট্যাগটা লাগিয়ে পাশ্চাত্যের প্ররোচনায় রাষ্ট্র কর্তৃক আপনার চরম শান্তি হতে পারে।
এদিকে এখনকার ইসলামের দলগত বিভক্তির কথা বলতে গেলে আধুনিক যুগে এসে চরম আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের কথা বাদ নাই দিলাম, বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে দেখুন। তিরমীযি শরীফে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই হাদীস- “আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে” এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে প্রত্যক ইসলামী দলগুলো প্রতিযোগিতা, বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সব দলই নিজেদের “আহলে সুন্নাত ওয়াল-জামায়াত” বলে দাবি করে অপর ইসলামী দলকে পথভ্রষ্ট এমনকি কাফের বলে সম্বোধন করতে দ্বিধাবোধ করছে না। প্রতিযোগিতা এবং প্রতিহিংসাই যেন তাদের মূল কাজ। এইসব কারণে ইসলামী দলগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের একধরনের সন্দিহান, সংশয় কাজ করে ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আলেম সম্প্রদায়কে নিয়ে নানা কটূক্তি করার সাহস পাচ্ছে। আমরা নিজেদের পাপের কারণেই আজ আল্লাহর সাহায্যও মদদ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
পরিশেষ, যদি আমরা বদরের বিজয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সাহাবায়ে কেরামের ঈমানী চেতনায় যদি উজ্জীবিত হতে পারি, তাহলে আজও পৃথিবী ইসলামের বিজয়ের পতাকা উড়বেই। পৃথিবীর কোন তাগুতী শক্তি দমিয়ে রাখতে পারবে না। এই সময়ে আমাদের মাঝে কোন আশার আলো না দেখলেও একদিন মুসলিমরা তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস রাখি।
লেখকঃ কলামিস্ট।