এমদাদ চৌধুরী দীপু, নিউইয়র্কঃ
দুই সপ্তাহে ৫০ বাংলাদেশীর মৃত্যু হলো যুক্তরাস্ট্রে। প্রতিটি মৃত্যু স্বজন হারানোর একেকটি গল্প। করোনায় যুক্তরাস্ট্রে বাংলাদেশীদের মত্যু ২৫১ ছাড়িয়েছে। ১০ মে মারা যান আরো একজন। গত ১০ এপ্রিল এইসংখ্যা ছিল ৯০ জন। এর আগে মার্চের শেষে সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০জন।
এপ্রিল মাসে সব চেয়ে বেশী মৃত্যু হয়েছে বাংরাদেশীদের । ঘোলা ভরা ধান,গোয়াল ভরা গরু,পুকুর ভরা মাছ,কিংবা দেশে অর্থ,বিত্ত,সম্পদ স্বজন রেখে শান্তি,নিরাপত্তা উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমিয়েছিলেন স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় তারা চলে গেলেন মহামারী করোনার আক্রমনে।
একে একে ২৫০টি জীবন হারিয়ে গেছে শুধু যুক্তরাস্ট্রে। এই সংখ্যা আরো বেশী কারন প্রতিদিন নানা সূত্রে এখানে বাংলাদেশী গণমাধ্যমে মৃত্যুর খবর এস পৌছতে সময় লাগে। ১০মে এখানগণমাধ্যম যাদের নাম উল্লেখ করেছে সে তালিকায় রয়েছেন ৯জন, তাঁরা হলেন তাসনিম তমা (৩০), নুরুদ্দীন (৬৫), রাশেদা বেগম (৭৫), মোহাম্মদ হক (৮২), মাওলানা মুজাহিদ আলী (৭৬), আলতাফ হোসেন লনি (৭৬), কাজী মোহাম্মদ (৭৭) এবং মোহাম্মদ এ সামাদ (৭৪)।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশী,মহিলাদের সংখ্যা অনেক কম। এছাড়া ৫০ উর্ধ্ব লোক সবচেয়ে বেশী। সবচেয়ে বেশী মারা গেছেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে,নিউইয়র্ক কুইন্স বুরোর এলমাস্ট হাসপাতালে বাংলাদেশীদের মারা যাওয়ার খবর সব চেয়ে বেশী আলোচনায় ছিল।
মার্চের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাস্ট্রে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে,বাড়তে থাকে মৃত্যু,২৫মার্চ ৪জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর শোক ছড়ায় কমিউনিটিতে। সেই শোক এখনো মালা গেথে যাচ্ছে জনে জনে প্রাণে প্রাণে।একদিনে সর্বোচ্চ ১৮জনের মৃত্যু ঘটে এপ্রিলের ২তারিখে। খবর আসে একপরিবারের দুই ভাইয়ের মৃত্যুর,খবর আসে চিকিৎসকের মৃত্যুর। এভাবে নানা গল্প রচিত হতে থাকে করোনা মাহামারীকে কেন্দ্র করে। সব চেয়ে বড় শোকের খবর ছিল উত্তর আমেরিকার শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমদের মৃত্যু,ব্রংকসের ডাঃ রেজার মৃত্যু,বিএনপি নেতা আজাদ বাকের ,সাংবাদিক স্বপনসহ অনেক বিশ্স্টিজনের মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে যুক্তরাস্ট্রজুড়ে। এদিকে এনওয়াইপিডির মোহাম্মদ আলীসহ আরেক সার্জেন্ট এর মৃত্যু ছিল আলোচনায়,গত ২৭ এপ্রিল মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় ২০০তে। দুই সপ্তাহে আরো ৫০ জনের মৃত্যু উদ্বেগ আর ভীতি ছড়াচ্ছে বাংলাদেশীদের মাঝে।