শুয়াইবুল ইসলাম:
কারাগারে থেকে একজন হাজতি কিভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন তা কোনভাবেই পরিষ্কার নয়…
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলি। তিনি বললেন, নিহত আবুল হোসেন গত ৫ মার্চ কারাগারে প্রবেশ করেন। কারাবন্দি হওয়ার আগে তিনি আক্রান্ত হওয়ার তো সুযোগ নেই।
তাহলে প্রশ্ন জাগে- কারাবন্দিদের সঙ্গে আত্মীয় বা শুভাকাঙ্খি কারো সাক্ষাৎ হয়েছিলো কি না?
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কারাবন্দিদের আত্মীয় বা শুভাকাঙ্খি কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ নেই। তাই, এ প্রশ্নটিও কাজে লাগল না।
প্রশ্ন করলাম- বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে নতুন করে যারা কারাগারে তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কতটুকু?
জেল সুপার- নতুন করে যারা কারাগারে প্রবেশ করছে তাদেরকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ভবনে রাখা হয়। ১৪দিনের মধ্যে তাদের শরীরে করোনার কোনধরণের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা না দিলে তাদেরকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
তাহলে এই ব্যক্তি কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
সিলেটের সিভিল সার্জন বলছেন, এ বিষয়টি কোনভাবেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে, কারাগারে অন্য কেউ করোনায় আক্রান্ত কি না সেটা নিশ্চিত হতে কারাগারের স্টাফ, চিকিৎসক, কারারক্ষী ও কয়েদিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
নোটঃ সাংবাদিক শুয়াইবুল ইসলামের ফেসবুক থেকে নেয়া।