লিবিয়ায় নিহত বাংলাদেশিদের পাচারে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালের (৫৫) জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার কামালকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ভাটারা থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম।
অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আলোচিনত ঘটনার এ মামলায় কেন আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হলো না, সে প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেন বলেন, “এটি তদন্ত কর্মকর্তার বিষয়। আমি বলতে পারব না।”
এই আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
সোমবার রাতে র্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় হাজী কামালের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের ১১ (৩) ধারায় মামলাটি করে।
লিবিয়ায় নিহতদের অন্তত দুইজনকে পাচার করেছিলেন হাজী কামাল: র্যাব
ভাটারা থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মুক্তার উজ্জামান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের সময় কামালের কাছে অবৈধ ৩১টি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে।ওই ঘটনায় আরও ১১ বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হন।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। র্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশিদের লিবিয়ায় পাচারের ঘটনা তদন্তে এই হাজী কামালের নাম উঠে আসে।
এরপর সোমবার ভোরে র্যাব-৩ এর একটি দল গুলশান থানার শাহজাদপুরের বরইতলা বাজার খিলবাড়ীরটেক এলাকা থেকে হাজী কামালকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা সদরের জামাত আলী মণ্ডলের ছেলে।
শুধু লিবিয়া নয়, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠিয়েছেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়।