মোহাম্মদ জীবন আহমেদ
দেশে বাল্যবিয়ে অন্যতম সমস্যা। এটি দু-চার দিন আলোচনা করে থেমে যাওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। দেখা যাচ্ছে, সবকিছুর পরিবর্তন হলেও এটি এখনও বন্ধ হয়নি। এটি যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে গোপনে বাল্যবিয়ের আয়োজন। বিশ্বের ৪০ লাখ কন্যাশিশুকে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে করোনা মহামারী। স্কুল বন্ধ থাকা, দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়াসহ করোনা সম্পর্কিত নানা কারণে বাল্যবিয়ের ঝুঁকির মুখে পড়েছে বিশ্বের বিপুলসংখ্যক কন্যাশিশু। এ সময় করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
লকডাউনের সুযোগে অনেক পরিবার যেমন বাল্যবিয়ের আয়োজন করবে, তেমনি এটি গোপন করারও সুযোগ পাবে। মহামারীর কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, তা থেকে বাঁচার জন্যও অনেক দরিদ্র পরিবার এ বাল্যবিয়ের আশ্রয় নেবে। এর মাধ্যমে তারা পরিবারের সদস্য সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করবে।
আর এসব বাল্যবিয়ের ফলে সমাজে যৌতুক লেনদেনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাল্যবিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুখের হয় না। বাল্যবিয়ে দেশে মা ও শিশুর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। কিশোরী মায়ের মৃত্যুঝুঁকি প্রাপ্তবয়স্ক মায়ের তুলনায় অন্তত চারগুণ বেশি। তাই এ সময় বাল্যবিয়ে যাতে রোধ করা যায়, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
লেখক: সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সিলেট
jibonsylhet2005@gmail.com