দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের চর মোহাম্মদপুর গ্রামে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক ইবরাহীম আলী খাঁন। তিনি ২৪ জুন বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন- তিনি শহরে থাকেন, তার গ্রামের বাড়িতে যৌথ পরিবারের মধ্যে দু’জন ভাতিজা প্রবাসে আছেন। তাদের সম্পত্তিও তিনি দেখাশোনা করেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ এর দিকে চর মোহাম্মদপুর মৌজার এস.এ খতিয়ান নং ২০৪, দাগ নং ৫৪৮, বি.এস খতিয়ান নং ১০৮, জে.এল ৪৭ এর দক্ষিণে ৫৫৪ দাগে বসবাসকারী মৃত আফতাব আলী খানের ছেলে ফয়সল আহমদ খান, মোস্তাক আহমদ খানের ছেলে মঞ্জুর আহমদ খাঁন গং ব্যক্তিগণ তাদের সম্পত্তি গ্রাস করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যা তাদের নামে রেকডিয় ও দখলীয়। তাদের ঘরের পূর্বে খালি ভিটায় প্রতিপক্ষ ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে ইবরাহীম আলী খাঁন আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৭/১৯। আদালত মোগলাবাজার থানাকে শান্তি রক্ষার নির্দেশ দিলে থানা পুলিশ স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।
এছাড়াও ফয়সল গংদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করলে আদালত মঞ্জুর আহমদ খাঁনকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়। দু’মাস কারাভোগের পর মঞ্জু জামিনে মুক্তি পায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, করোনা ভাইরাস জনিত কারণে বাড়িতে যাতায়াত না করার সুযোগে ফয়সল, মঞ্জু গং আবারো বিরোধপূর্ণ জায়গায় গৃহ নির্মাণ শুরু করে। এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানায় গত ১২ মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং- ৫৯২।
থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষ করে প্রতিপক্ষ গৃহ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। ফয়সল, মঞ্জু গংরা ৪৬ বছর পূর্বে নির্মিত দালান ঘরের উঠানে ও এজমাল পুকুর ঘাটে ইবরাহীম আলী খানদের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি বাড়িতে গেলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যে কোন ধরণের ক্ষতি করবে বলে প্রচার করছে প্রতিপক্ষ।
এমতাবস্থায় ইবরাহীম আলী খাঁন তার পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা ও নিজ জীবনের নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাকারিয়া আহমদ খান, কামাল আহমদ খান, হিরন আলী খান প্রমুখ।