শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

পুলিশের নায়েক সফি: নিজের খাবার বিলিয়ে দিলেন অনাহারী মুখে




মবরুর আহমদ সাজুঃ

ভয়ংকর করোনাপরিস্থিতে থেমে নেই সিলেট নগর পুলিশের নায়েক সফির কার্যক্রম। সকল বাধা উপেক্ষা করে অসহায় গরীব দূ:খী ও মেহনতি মানুষের পাশে এসে দাড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কখন ব্যক্তিগত, কখনোইবা অন্যর কাছ থেকে সংগ্রহ করে অসহায়দের মুখে হাসি ফোটানে যেন তার প্রতিদিনের রুটিন।
তারাই ধারাবাহিতকায় আজ সকাল থেকেই সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন অসহায়দের খোজে খোজে বের করে। ঈদ সামগ্র তুলে দিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে সফি জানান,নগদ অর্থ, ইফতার সামগ্রী এবং আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হলো।
আসন্ন ঈদ বোনাস এর টাকা ও আমার প্রবাসী কিছু আত্মীয় স্বজনরা, বন্ধু ও ভাইদের সহযোগিতায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। আমার কাজে সহযোগিতা করছেন কনস্টেবল শফিকুল আলম রুবেল ও প্রাইভেট ক্লিনিক এর ম্যানেজার মায়শা সাথী।
সফি বলেন,পুলিশ জনগণের বন্ধু স্বরণকালের সবচেয়ে বড় মহামারিতে পুলিশ সদস্যরা পরিবার পরিজনের মায়া মমতা ভূলে দেশের জন্য সমাজের জন্য কাজ করছে। আমি সকলের জন্য দোয়া চাই।

সফি জানান মানুষ মানুষের জন্য গত ২৬ শে মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত অসহায় মধ্য বিত্ত পরিবারের মাঝে তাঁর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে।

এছাড়া করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলাম এবং কিছু মানুষকে বিকাশ এর মাধ্যমে নগদ অর্থ দিয়ে থাকি। আত্মীয় স্বজন ও নিজ এলাকা কুলাউড়াতেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আসন্ন রমজান মাস ইফতার সামগ্রী ও বিতরণ করে থাকি।
আমার কাজে টাকা শ্রমসহ সকল প্রকাশ সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।

কয়েকদিন আগে
মীরের ময়দানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কবল থেকে রক্ষা করেনন
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নায়েক মো. শফি আহমদ।
এদিকে
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গোটা বিশ্ব এখন দিশেহারা। সিলেটে মাস দেড়েকর অধিক সব কিছু বন্ধ থাকায় নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তরাও সংকটে পড়েছেন। কারো কাছে হাত পাততেও পারছেন না অনেকে। এই পরিস্থিতিতে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে দিনরাত সিলেটের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছুটে চলেছেন একজন সফি আহমদ।

সাধ্যমতো সহায়তা তুলে দিচ্ছেন দুর্দশাগ্রস্থ পরিবারের হাতে।

ইতোমধ্যে তিনি ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

মো. সফি আহমেদ একজন পুলিশ সদস্য। সিলেট মহানগর পুলিশের নায়েক পদে কর্মরত। বর্তমানে তিনি মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস বিভাগে কর্মরত আছেন। তার বাবা ছিলেন দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরদিন থেকেই মূলত তিনি কাজ শুরু করেন।

প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শেষে নিজের মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের খোঁজে। বর্তমানে ইফতার সামগ্রী সহ সেহরি খাবার টুকু পৌঁছে দিচ্ছে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতারের আগে পথচারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে ইফতার সামগ্রী। রাতের আঁধারে সেহরি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।

সফি আহমদের পথচলা শুরু গল্পটাও অন্যরকম। প্রথমে নিজের দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতা করার আগ্রহ থেকেই তিনি পথে নামেন। কিন্তু যখন দেখেন সংকট সর্বত্র তখন তিনি আর নিজের মধ্যে তৎপরতা সীমাবদ্ধ রাখতে পারেননি। ২৬ মার্চ থেকে নিজ উদ্যোগে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, বর্তমানে তা অব্যাহত রয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ উনার পরিচিত প্রবাসী ও বন্ধুমহল সবাই আর্থিক সহযোগিতাসহ সবধরণের সহযোগিতা করছেন বলেও তিনি জানান।

সফি আহমদ জানান, প্রতিদিন প্রায় ১০- ১৫টা পরিবারের কাছে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: