এই সময়ের পরিচিত কবি ও সম্পাদক খালেদ উদ-দীন এর ৪৪ তম জন্মদিন আজ। সমকালীন বাংলা কবিতায় তাঁর রয়েছে এক স্বাতন্ত্র্য ভাবধারা। জীবন জিজ্ঞাসার নানা অনুসঙ্গ এবং ভাববাদ তাঁর কবিতার সহজাত বিষয়। একটা প্রশ্ন রেখে সমাপ্ত হয় তাঁর বেশির ভাগ ছোটো ছোটো কবিতা। ছোটোকাগজ ‘বুনন’ খালেদ উদ-দীনের অন্যতম সেরা কাজ। ইতোমধ্যে বাংলাভাষাভাষী পাঠকের কাছে নন্দনতত্ত্বের ব্যতিক্রমী কাজ হিসেবে ‘বুনন’ সমাদৃত হয়েছে। রাজশাহী থেকে শ্রেষ্ঠ ছোটোকাগজ হিসেবে বুনন ২০১৯ সালে ‘চিহ্ন পুরস্কার’ এবং ২০২১ সালে ঢাকা থেকে ‘লেখমালা’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে।
কবি পরপর দুইবার (২০১৮, ১৯) দিল্লিতে অনুষ্টিত সার্ক সাহিত্যসম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কলকাতা সাহিত্যসম্মেলন-২০১৭ এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। উল্লেখ্য যে, সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাঁকে সম্মানিত করেছে।
কবি খালেদ উদ-দীন ১৯৭৮ সালের ১০ মে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার সরুয়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পেশা জীবনে তিনি সিলেটের রাগীব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। এ পর্যন্ত তাঁর ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইগুলো হলো, রঙিন মোড়কে সাদা কালো (কাব্য, ২০০৮), ভাঙা ঘর নীরব সমুদ্র (কাব্য, ২০০৯), জলপাতালে মিঠে রোদ (কাব্য, ২০১৫), নৈঃশব্দের জলজোছনা (কাব্য, ২০১৭), হাওয়াবাড়ির জানালাগুলি (কাব্য, ২০১৯), The Sky House (2019), সুপারম্যান (শিশুতোষ গল্প, ২০১৬), কথা বলা পাখি (শিশুতোষ গল্প, ২০১৭), পাখিবন্ধু (শিশুতোষ গল্প, ২০১৮), শেফালিখালার গল্প (শিশুতোষ গল্প, ২০১৮), পরিরাজ্য (২০২০), দেওয়ান ফরিদ গাজী (জীবনচরিত, ২০১৯), পাপড়ি রহমানের ‘নির্বাচিত গল্প’ (সম্পাদনা, ২০১৭)। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় আলোচিত সাহিত্যের ছোটোকাগজ ‘বুনন’ এবং তিনি দৈনিক ‘শুভ প্রতিদিন’ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি