বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুবাগে চেয়ারম্যানের কর্তৃক ত্রাণ সহায়তা নিয়ন্ত্রণে রাখার অভিযোগ




স্টাফ রিপোর্ট :
বিয়ানীবাজার উপজেলার ৩ নং দুবাগ ইউনিয়নের ত্রাণ সহায়তা পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম দাদাভাই ও তার ছোট ভাই নজরুল সেলিম। এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ইতিপূর্বে দাদাভাই তার চেয়ারম্যান পদটি হারিয়েছিলেন।কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে তখনকার শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের স্থানীয় এপিএস দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালের সহযোগিতায় তিনি চেয়ারম্যান পদে বহাল থেকে যান।যার ফলে দাদাভাইয়ের বিরোদ্ধে কথা বলতে কেন সাহস পায়না।যে কথা বলবে তাকে তিনি মাদক বিক্রি ও চোরাচালানের মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়ে দিবেন।বাংলাদেশ ও ভারতের বড়মাপের সকল মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার সরাসরি সম্পর্ক আছে।যার ফলে মদকের বড়বড় চালানগুলো দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।এমনকি ভারতের শীর্ষ মাদক সম্রাট বর্তমানে বাংলাদেশের কারাগারে আটক ফকির আলীকে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন।দুবাগ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড গজুকাটার ভোটার লিস্টে তার নাম আছে।৪ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য (বর্তমানে কারাগারে আটক) জয়নুল ইসলাম এই ব্যাপারে সহযোগীতা করেছিলেন বলে স্থানীয় ভাবে অভিযোগ রয়েছে।
বেপরোয়া হয়ে উঠা মাদকের বরপুত্র এই চেয়ারম্যান নিজের ছোট ভাইকে ডিলারশিপ দিয়ে আত্মসাৎ করছেন গরীব ও অসহায় মানুষের হক।অত্যন্ত সুক্ষ্ম ভাবে খাতা মেন্টেইন করে আইনের হাত থেকে বেচে যান তারা দুভাই।সম্প্রতি সময়ে সরকার থেকে যে দান অনুদান আসছে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম দাদাভাই ও তার ভাই নজরুল সেলিম লুটে খাচ্ছেন বাঘের ভুমিকায়।তাদের বিরোদ্ধে স্থানীয় শ্রমিকেরা মাসদিন আগে একবার রাস্তায় নেমেছিল তখন পত্রপত্রিকায় “দুবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চাল নিয়ে চালবাজি করছেন” এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছিল।তারপরও মাদক রাজ্যের মহারাজ চেয়ারম্যান দাদাভাই বেপরোয়া অবস্থানে আছেন।তার ডু অর ডাই নীতিতে অসহায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলাই ও সাধারণ সম্পাদক তাওফিক মাহমুদ চৌধুরী।সম্প্রতি বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে ইউনিয়নের শীর্ষ এই দুনেতা গিয়েছিলেন ইউনিয়ন অফিসে।খারিজ হয়ে বেরিয়ে এসে ফোন করে বিচার দিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে।সরকারী ত্রাণ কি পরিমাণ এসেছে বা বিলি হয়েছে তার কোন পাত্তা পাচ্ছেনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।দুর্যোগের এই সময়ে আওয়ামীলীগ বলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুবাগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন,বিচার না পেলে বিচার দিয়ে লাভ কি?হোম কোয়ারেন্টাইনে নীরব থাকাই ভালো।
এমনকি ইউপি সদস্যরাও চেয়ারম্যান দাদা ভাইয়ের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন।তাদের মুখ দিয়ে লোহার পেরাগ ঢুকালেও তারা মুখ খুলবেনা।কারণ ইতিপূর্বে যে সদস্যগন তার বিরোদ্ধে কথা বলছিলেন,তাদেরকে জেল হাজতে ঢুকতে হয়েছিল কোনানা কোন ভাবে।এমনকি ৩ নং ওয়ার্ড এর সদস্য আম্বিয়া আহমদ চৌধুরীকে সদস্য পদ হারাতে হয়েছিল দাদাভাইয়ের রোষানলে পড়ে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার ছত্রছায়া বেপরোয়া হয়ে উঠা চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম দাদাভাই নিজকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ডানহাত দাবি করে নিজের ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নজরুল সেলিমকে নিয়ে একের পর এক আত্মসাৎ করেছেন সরকারী ত্রাণ সামগ্রী।তাদের লাল চোখের রাজত্বে অসহায় ইউনিয়নের সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষ।
চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম দাদাভাইয়ের বিরোদ্ধে আনিত অভিযোগ ব্যাপারে তার মুঠোফোন ০১৭১৮২৫১৫২৭ নাম্বারে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: