সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাতেই নিভে গেলেন আমাদের আলোর বাতিঘর




এই অধ্যাপক হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স ডিজিজ এবং প্রোস্টেটের সমস্যা ভুগছিলেন। শেষ দিকে তার রক্তে ইনফেকশনও দেখা দিয়েছিল।

গত ২৭ এপ্রিল থেকে তিনি ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৯ মে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

আনিসুজ্জামানের ছেলে আনন্দ জামান রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ সকালে আব্বার নমুনা নেওয়া হয়। বিকালে মৃত্যুর পর আবারও নমুনা নেওয়া হয়। একটু আগে জানতে পারলাম, রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।”

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী সন্ধ্যায় বলেছিলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জ্বর ছিল বলে চিকিৎসকরা করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।

বাহাত্তরের কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সদস্য আনিসুজ্জামান আমৃত্যু ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি শিক্ষকতা করেছেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে শিক্ষকতা, গবেষণা ও মৌলিক সাহিত্য রচনার পাশাপাশি একক ও যৌথভাবে অসংখ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৫ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে; সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি পান স্বাধীনতা পুরস্কার।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: