শাহ সুহেল আহমদ :
ফ্রান্সে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। এর মধ্যদিয়ে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন হলো।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাসে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন হয়।
ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ই-পাসপোর্ট সেবা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে ফ্রান্সের বাংলাদেশ মিশন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুল সালাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসীরা।
দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মো: ওয়ালিদ বিন কাশেম, এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম. এ তাহের, সিনিয়র সহ সভাপতি এইচ এম রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ, যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এসএম মিল্টন সরকার, যুবনেতা নাজির উদ্দিন যশরী, লায়েক আহমেদ তালুকদার, সাব্বির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা বলেন, প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্রান্সে আরও আগে চালু হওয়ার কথা ছিল ই-পাসপোর্ট সেবা। সরকারের সীমাবদ্ধতার জায়গা থেকে একটু দেরি হলেও ফ্রান্স বাংলাদেশ মিশনে এই পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হলো।
তিনি বলেন, মিশন প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। ই-পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের প্রতি সতর্ক হওয়া ও শুরুতে আবেদন কম গ্রহণ করা হলেও পরবর্তীকালে জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে বেশি সংখ্যক আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানান এম. তালহা।
বাংলাদেশ মিশন ই-পাসপোর্ট চালুর ফলে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর ও নিরাপদ হবে। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়। বিশ্বে ১১৮টি দেশে এ সেবা চালু রয়েছে। বাংলাদেশ ১১৯তম দেশ হিসেবে এই পাসপোর্ট নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়েছে। ফ্রান্সের বাংলাদেশ মিশনসহ পৃথিবীর ৪৬টি মিশন ও কনসুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে।