শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Sex Cams

সি.আর দত্তের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হবিগঞ্জ সদর শাখার মৌন অবস্থান কর্মসূচী পালন




অঞ্জন করঃ

মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি. আর. দত্ত) বীর উত্তম মহোদয়ের মহাপ্রয়াণে আজ পহেলা সেপ্টেম্বর (মংগলবার) হবিগঞ্জ শহরের শ্রী শ্রী মহাদেব ও শ্রী শ্রী শনি মন্দির প্রাংগণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে মৌন অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়।

উক্ত মৌন অবস্থান কর্মসূচীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শংকর অধিকারী (সভাপতি), গিরিশ চন্দ্র গোপ (সহ-সভাপতি), অলক চন্দ (সাধারণ সম্পাদক), অমলেন্দু কর (অর্থ সম্পাদক), কাজল রঞ্জন দত্ত (সাংগঠনিক সম্পাদক), চন্দন মালাকার (আইন বিষয়ক সম্পাদক), সূধীর দেবনাথ (পূজা সম্পাদক), সমীরণ কিশোর দাশ(সহঃ প্রচার সম্পাদক), বনবিহারী রায় (সদস্য), সুজিত সেন (সদস্য), অনঙ্গ মোহন দেবনাথ (সদস্য), মতি দেবনাথ এবং আরও অনেকেই। উক্ত রেলীর মাধ্যমে বিদেহীর আত্মার শান্তি কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

উক্ত শোক রেলী প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি শংকর অধিকারী বলেন, বীর উত্তম সি আর দত্ত মহোদয় ছিলেন এক দুঃসাহসী বীর। এমন বীরের মহাপ্রয়াণ দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট উন্নয়নে বীর উত্তম সি আর দত্ত মহোদয়ের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখা ওনার মহাপ্রয়ানে গভীরভাবে শোকাহত। ওনার মহাপ্রয়াণে সমগ্র দেশ যতটা শোকাহত তার থেকে হবিগঞ্জবাসী আরও বেশি শোকাহত। কারণ তিনি ছিলেন হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান। এই শোক, শূন্যতা পূরণ হবার নয়। আজকের এই শোক রেলী থেকে আমরা বিদেহীর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। সি আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে।

চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার। তিনি ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাথে যুক্ত।

চিত্তরঞ্জন দত্ত ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কিছুদিন পর ‘সেকেন্ড লেফটেনেন্ট’ পদে কমিশন পান। ১৯৬৫ সালে সৈনিক জীবনে প্রথম যুদ্ধে লড়েন তিনি৷ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে আসালং এ একটা কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন তিনি। এই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করে।

মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা অনেক। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেব দায়িত্ব দেয়া হয় এম.এ.জি ওসমানীকে। তিনি বাংলাদশেকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন। সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়স্তাগঞ্জ রেল লাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে ৪নং সেক্টর গঠন করা হয় এবং এই সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন চিত্তরঞ্জন দত্ত।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: