বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাকাশের প্রতি আগ্রহ আর মহাকাশবিজ্ঞানে পড়া এক জিনিস নয়




মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের গতানুগতিক পড়াশোনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়টা সত্যিই অন্যরকম। এসময় আশা জাগানিয়া ঘটনা যেমন ঘটে, তেমনি প্রত্যাশার সাথে বাস্তবতার মিল না হলে আত্মবিশ্বাসের পারদ নেমে যায় অনেক নিচে। অনেকে তাই একে আখ্যায়িত করেছেন ভর্তিযুদ্ধ নামে। যুদ্ধই তো; এত এত ঘাত—প্রতিঘাত মোকাবিলা করে নিজেকে যোগ্য বলে প্রমাণ করা, নিজের আশা আর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা। একে যুদ্ধ না বলে উপায় আছে?

প্রতিটি লড়াইয়ের আগে যেমন প্রতিপক্ষকে জানতে হয়, অপরপক্ষের কৌশলগুলো অধ্যয়ন করতে হয়; ভর্তিযুদ্ধেও তাই সকল কলাকৌশল আগে থেকে জানা থাকতে হয়। এক্ষেত্রে কঠিন প্রশিক্ষণ ব্যক্তিকে এগিয়ে দেয়, বাড়তি সুবিধা দেয় যেকোনো অবস্থায়। ভর্তি পরীক্ষার আগে বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভাগগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে পছন্দের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

পরিকল্পনা হতে হবে নিজ ইচ্ছা আর যোগ্যতার মাপকাঠি অনুসারে। একাডেমিক যোগ্যতা আর মনোবল যদি সায় না দেয় তাহলে তো ‘আকাশ—কুসুম কল্পনা’ করে লাভ নেই। মহাকাশের প্রতি আগ্রহ থাকা আর মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা এক জিনিস নয়। নিজের ভালো লাগাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিবারের অভিজ্ঞ সদস্যদের মতামতকেও প্রাধান্য দিতে হবে। তবে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকেই।

বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশকিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান, আবাসনের ব্যবস্থা, পছন্দের বিষয়ে আসনসংখ্যা, সহশিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ, খরচ ইত্যাদি। সবকিছু একসাথে বিবেচনা করে নিজ সামর্থ্যের আলোকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে গেলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হয়। ব্যক্তিবিশেষে অনেক সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেশি সুবিধাজনক মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজ সামর্থ্য আর পছন্দকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: