ঢাকা: এপ্রিলে ঘোষণা করা হতে পারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি। মুজিববর্ষের ব্যস্ততার মধ্যে চলতি মার্চে এসব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গত বছর ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নভেম্বরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, দলের তিন সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে প্রতিটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি পরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
শুধু ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনগুলোই নয়, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে ২৯টি জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সব জেলা সম্মেলনেও শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সম্মেলন হওয়া এই জেলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণার অপেক্ষা রয়েছে।
এদিকে সম্মেলন হয়ে যাওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং জেলা কমিটির নতুন সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে গত ফেব্রুয়ারিতে স্ব স্ব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা পড়েনি বলে জানা গেছে। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা উপজেলার সম্মেলনও ৬ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এই সময়ের মধ্যে সম্মেলনের বাড়তি চাপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলের নীতিনির্ধারকরা। সে অনুযায়ী সম্মেলনের কার্যক্রম বর্তমানে স্থগতি রয়েছে। আর এ সংগত কারণেই যে সব জায়গায় সম্মেলন হয়েছে সে সব জায়গার পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকাও আসতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, আগামী ১৭ মার্চ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। মুজিববর্ষের সার্বিক প্রস্তুতি এবং কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এই সময় দলের সর্ব স্তরের নেতাকর্মী ব্যস্ততার মধ্যে থাকবেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারাও ইতোমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির যে তালিকা পাঠাবেন সেটা যাচাই-বাছাই করে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেবেন। দলের সভাপতিরও এই সময় অনেক ব্যস্ততা রয়েছে। সার্বিক কারলেই মুজিববর্ষের ব্যস্ততার মধ্যে মার্চ মাসে কমিটি দেওয়া সম্ভব হবে না।
ওই নেতারা আরও জানান, মার্চে মুজিববর্ষের মূল কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যদিও সারা বছরই মুজিববর্ষের কর্মসূচি ও বিভিন্ন আয়োজন চলবে। তবে মার্চের পর একটু ব্যস্ততা কমবে তখন সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবে। মার্চের পর এপ্রিলের দিকে সম্মেলন হয়ে যাওয়া সংগঠনগুলোর নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা উপজেলার সম্মেলন প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মার্চে মুজিব উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হবে। এই সময় ঢাকা মহানগরসহ সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা চাওয়া হয়েছে কিন্তু সেটাও এখনো জমা পড়েনি। ব্যস্ততা কমলে এপ্রিলের দিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এপ্রিলে সাংগঠনিক কার্যক্রমও শুরু করা হবে।