বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুমনকুমার দাশের ‘পাতাকাহিনী’ ভাইরাল




শাবুল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ

সুমনকুমার দাশ। একজন বহুমাত্রিক চিন্তার মানুষ। একাধারে একজন সাংবাদিক, লোকগবেষক এবং অতি সম্প্রতি গীতিকার হিসেবে তিনি নাম লেখিয়েছেন। একজন পরিচ্ছন্ন সাংবাদিক ও গবেষক হিসেবে দেশ এবং দেশের বাহিরে সুমনকুমার দাশের যথেষ্ঠ সুখ্যাতি রয়েছে। সাংবাদিকতা কিংবা গবেষণা যে শাখায় হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন তিনি।
মৌলিক ও সৃজমনস্ক কাজের জন্য ইতোমধ্য তাঁর সাফল্যের পালকে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।
সম্প্রতি সুমন কুমার দাশের লেখা “পাতাকাহিনী” শীর্ষক ‘একটা ডালে দুইটা পাতা’ গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। বলা যায়- খুব অল্প সময়ে সর্বমহলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে এই গানটি।

‘জলের গান’-এর প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী রাহুল আনন্দ বেশ দরদ দিয়ে সুর এবং কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়াও গানটি গেয়েছেন ‘জলের গান’-এর আরেক শিল্পী মল্লিক ঐশ্বর্যও।

সুমনকুমার দাশের জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার সুখলাইন গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর আগ্রহ ও চর্চার প্রধান বিষয় ফোকলোর ও সংগীত-সংস্কৃতি। গ্রামাঞ্চল ঘুরে প্রাচীন ও বিলুপ্তপ্রায় গান সংগ্রহ করেন। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে নানা ধারা-উপধারার অজস্র লোকগান রয়েছে। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের বাউল-ফকির: পরিচিতি ও গান, বাংলাদেশের ধামাইল গান, বাউলকোষ, বাউলসাধনা লালন সাঁই ও অন্যান্য, লোকভাবন, লোকগান লোকসংস্কৃতি, বেদে-সংগীত, আমাদের শান্তিনিকেতন উল্লেখযোগ্য।
গানের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সুমনকুমার দাশ বাংলা টেলিগ্রামকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই এ গান লেখা। পরে সেটি পাঠিয়ে দিই নাট্যসংগঠন হুমায়ুন কবির জুয়েল ভাইয়ের কাছে। তিনি গোপনে সে গান পাঠিয়ে দেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পী রাহুল আনন্দদা’র কাছে। এরপর তিনি সুর করলেন, শিল্পী মল্লিক ঐশ্বর্যকে দিয়ে গাওয়ালেন। নিজেও একাধিকবার বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠানে এ গান রাহুলদা গাইলেন। গানটি যে সবার এত ভালো লাগবে, প্রথমে বুঝতেই পারিনি।’

তিনি আরো জানান, অনেক আবেগি শ্রোতারা ফেসবুক ইনবক্সে আমাকে অনুযোগ করেছেন, কেন দুটি পাতার মিলন হলো না? কেন একটি পাতার পতন হলো? এই যে গানের ভেতরে শ্রোতারা ঢুকে গিয়েছেন, এটা আমার জন্য এক পরম পাওয়া, অন্যরকম অনুভূতিও। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? আসলে শিল্পী রাহুল আনন্দদা গানের যে সুর করেছেন, এটা এতই মায়াবি আর গভীর, যা শ্রোতাদের পছন্দ হয়েছে। আসলে গানটি অল্প দিনেই জনপ্রিয়তা পাবার মূল কৃতিত্ব রাহুল আনন্দদার।’
গানের শাখায় আরো শ্রুতিমধুর গান নিয়ে নিয়মিত থাকবেন সুমনকুমার দাশ এমমটাই প্রত্যাশা করছেন তাঁর শুভাকাঙ্খি ও শ্রোতাবৃন্দ।

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: