মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম:
সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম একটি মুচি সম্প্রদায়। তারা সাধারণত জুতা সেলাই ও পালিশের কাজ করে থাকে। তবুও নিজেদের মান-সম্মান নিয়ে এদের কোনো অভিযোগ নেই।
তবে করোনাকালে ভালো নেই তারা। সকাল ৮ টায় কাজ শুরু করে বিকাল ৪ টার মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এর মধ্যে তাদের আয় হয় মাত্র দেড় থেকে দুইশত টাকা। যা দিয়ে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খেতে হয় তাদের। টানাপোড়নে চলে তাদের সংসার।
সিলেট শহরে বিভিন্ন পয়েন্ট বা মোড়ে তাদের দেখা মেলে। ছোট্ট একটি বাক্স নিয়ে তারা বসে থাকে কাস্টমারের আশায়। বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট, কুদরত উল্লাহ মার্কেটের সামনে, জিন্দাবাজার, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন স্থানে বসে তারা জুতা পালিশের করে থাকে।
বন্দরবাজারে কথা হয় ধীরু বাবুর সাথে। মনোযোগ দিয়ে জুতা পালিশ করছেন তিনি। কেমন আছেন? জানতে চাইলে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ভালো নেই। কেনো? বলতেই বলে উঠলেন, আয় রোজগার নেই, ভালো থাকি কেমনে?
প্রতিদিন কতো কামাই করেন, জানতে চাইলে তিনি জানান- আগে প্রতিদিন চার/পাঁচশ টাকা আয় হতো, এখন করোনার জন্য দেড়/দুইশ টাকা আয় হয়। এতে করে ৫ সদস্যের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।তার অভিযোগ, ভোট এলে তাদের খোঁজ নিতে আসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পাশ করার পর কেউ তাদের খোঁজ নেন না।