সিলেট ব্যুরো:
সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার সাদুরবাজারে রেলওয়ের আইডব্লিউ এর কর্তৃপক্ষের সাথে সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়ন-২১৭৪ এর শ্রমিকদের মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২৯ জুন বেলা ১১টায় বাবনা পয়েন্ট সংলগ্ন যমুনা ডিপোর সামনে।
জানা যায়, যমুনা ডিপোর পাশে সড়কের উপর শ্রমিকরা ট্যাঙ্কলরী পার্কিং করে তেল লোড করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। কয়েক দিন যাবৎ রেলওয়ের আইডব্লিউ আলী আকবর শ্রমিকদের লরী পার্কিং করতে নিষেধ করে। পার্কিং করতে চাইল তাকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। তার নিষেধ অমান্য করে শ্রমিকরা লরী রাখতে গেলে আলী আকবর এর সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। আলী আকবর তার লোকজন নিয়ে শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৫-২০জন শ্রমিক আহত হন।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি পুলিশ ও রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হামলায় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, সদস্য মুহিন আহমদ, রুবেল আহমদ, চেরাগ আলী, শাহীন আহমদ সহ১৫-২০জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতরা সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনা ব্যাপারে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আলাপকালে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন বলেন, যমুনা ডিপোর সামনে টেকনিক্যাল রোডের ওপর শ্রমিকরা দীর্ঘ দিন ধরে তৈল লোড করে আসছেন। কয়েকদিন যাবৎ রেলওয়ের আইডব্লিউ আলী আকবর শ্রমিকদের লরী পার্কিং করতে নিষেধ করেন। পার্কিং করতে চাইলে তাকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে আমরা তার কাছে চাঁদা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে কোন কারণ ছাড়াই আলী আকবর তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তার অতর্কিত হামলায় আমাদের ১৫-২০ শ্রমিক আহত হন। ঘটনার ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান শ্রমিকনেতৃবৃন্দ।
আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি পুলিশ এর ইনচার্জ সাহেদ উদ্দিন ফয়েজ জানান, রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলী আকবরের সাথে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।