সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবপ্রজাতির ওপর স্রষ্টা বেশ বিরক্ত




শরীফা বুলবুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ারও। ইতিহাস ছাড়াও রাজনীতি, সুরক্ষা, জাতি, ধর্ম এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে তার মতামত রবাবরই স্পষ্ট।

করোনাকাল কেমন কাটছে জানতে চাইলে স্পষ্টভাষী এই ইতিহাসবিদ ভোরের কাগজকে বলেন, আমি রুটিন ঠিক করে নিয়েছি। যখন যে পরিবেশেই থাকি না কেন মানিয়ে নেই। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত আমি আমার বইপত্রগুলো সাজিয়ে নিই। কারণ ২০১৫ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়ি থেকে অ্যাপার্টমেন্টে আসি তখন বইগুলো ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। বিষয় অনুসারে তা সাজানো ছিল না। খুব কষ্ট হতো বই খুঁজে পেতে। এখন এই অবকাশে আমি আমার এলোমেলো বইগুলো গুছিয়ে নিচ্ছি। অনেক অপ্রয়োজনীয় বই বাতিলও করছি। দুপুর ২টা থেকে ৩টার দিকে খাই। এরপর খবর শুনি এবং ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিই। মাগরিবের পর আবার পড়তে বসি। এক নাগাড়ে পড়ি। রাত ১১টার মধ্যে খেয়ে শুতে যাই। মাঝে মধ্যে টকশোতে যাই। এভাবেই আমার সময়গুলো যাচ্ছে। আমার সময় ভালোই কাটছে। সারা বিশ্ব খুব কষ্টে আছে, আমি এখন পর্যন্ত ভালোই আছি। নিয়মানুবর্তিতার মধ্যেই কেটে যাচ্ছে সময়।

এই বিপর্যয় কী নির্বিচারে প্রকৃতি ধ্বংসের কারণেই হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনাসংক্রান্ত এই যে বিপর্যয় সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে, এ নিয়ে আমার কাছে নানাবিদ ব্যাখ্যা আছে। প্রথমত শুনলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জীবাণু যুদ্ধ শুরু করেছে চীনের বিরুদ্ধে। সেটা বাতিল হলো। আবার এখন চলমান যে মতটি সেটি হলো- চীনের কোনো একটি ল্যারেটরিতে এই ভাইরাস উৎপাদিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সিআইএ অনুসন্ধান করছে। জানি না এ তথ্য চূড়ান্ত পর্যায়ে কেমন হবে। তবে যা হোক, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, আমাদের উন্নয়ন উন্মাদনায় প্রকৃতির বিরুদ্ধে অনেক অবিচার অন্যায় করেছি আমরা। প্রকৃতি সেগুলোর শোধ নিচ্ছে কিনা। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, লকডাউনের আগে ঢাকা শহর এক দূষিত নগর ছিল। এখন ঢাকা শহরে চমৎকার নীল আকাশ দেখা যায়। গাছপালাগুলো সবুজ হচ্ছে। সব কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে। আমি ইতিহাসের মানুষ। সেখানে নিয়তির বিধান বলেও একটা কথা আছে। স্পেংলার নিয়তিকে গ্রহণ করেছেন। আমার কাছেও মনে হচ্ছে, মানবপ্রজাতির ওপরে ¯্রষ্টা বেশ বিরক্ত হয়ে গেছেন। তার জন্য হয়তো বা এ ধরনের বিপত্তি এসে গেছে মানুষের ওপর।

 

সম্পাদক: শাহ সুহেল আহমদ
প্যারিস ফ্রান্স থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: